মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত ২০২৫ (আপডেট)
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত সেটা জানতে অনেকেই ইন্টারনেট কিংবা অনলাইনে সার্চ করে থাকেন। কারণ,দেশটির ফ্যাক্টরি ভিসা একটি জনপ্রিয় ভিসা হিসেবে পরিগণিত। প্রতিবছর দেশটি সরকারি এবং বেসরকারিভাবে কাজের জন্য অসংখ্য শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে।
দেশটিতে বর্তমানে নানা ধরনের ফ্যাক্টরি গড়ে উঠেছে এবং সেই সাথে নানা ধরনের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এসব ফ্যাক্টরিগুলোতে কাজ করার জন্য আপনাকে ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত সেটা সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে অনেকেই নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। এ পোস্টটিতে আমি দেশটির ফ্যাক্টরি ভিসায় বেতন কত সে বিষয়টি সম্পর্কে সুন্দরভাবে তুলে ধরবো। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত?
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত সেটা সম্পর্কে জানা একান্ত জরুরি। সাধারণত,দেশটির কাজের বেতন আপনার
শিক্ষাগত যোগ্যতা,দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা এবং কাজের ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে। এজন্য দেশটির ফ্যাক্টরি ভিসার বেতন সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়া কঠিন।
দেশটিতে বিভিন্ন কোম্পানির ফ্যাক্টরি বিদ্যমান রয়েছে এবং সেখানে কাজ করে ভালো টাকা ইনকাম করা যায়। এখানকার একজন ফ্যাক্টরি শ্রমিকের সর্বনিম্ন মজুরি ২৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। তবে,কোম্পানিতে দীর্ঘদিন কাজ করার ফলে সর্বনিম্ন মজুরি হয়ে থাকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।
এদেশের ফ্যাক্টরিগুলো শ্রমিকের কাজ করার পূর্ব অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আপনার যদি ফ্যাক্টরি কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকে তাহলে সর্বনিম্ন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পাবেন। তাছাড়া,এখানকার একজন অভিজ্ঞ সম্পন্ন শ্রমিকের মাসিক ন্যূনতম বেতন প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার দাম কত?
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত সেটা সম্পর্কে জানানোর সাথে সাথে এবার দেশটির ফ্যাক্টরি ভিসার দাম সম্পর্কে জানাবো। সাধারণত,সরকারিভাবে দেশটিতে যাওয়ার খরচ তুলনামূলকভাবে কম হয়ে থাকে এবং কোন দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে দেশটিতে যাওয়ার খরচ বেশি হয়ে থাকে।চলুন তাহলে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা দাম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি সরকারিভাবে ফ্যাক্টরি ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়া যেতে চাইলে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা খরচ গুনতে হবে।
এবং বেসরকারিভাবে দেশটির ফ্যাক্টরি ভিসার দাম ৫ থেকে ৯ লক্ষ টাকা। এই খরচের মধ্যে সকল ধরনের খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া,সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে ভিসার দামের তারতম্য হতে পারে।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা পাওয়ার নিয়ম
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত সেটা জানার সাথে সাথে দেশটির ফ্যাক্টরি ভিসা পাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা অতীব জরুরী। বোয়েসেলের মাধ্যমে সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া,প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাহায্যেও সরকারিভাবে দেশটিতে যেতে পারবেন।বাংলাদেশে অবস্থিত মালয়েশিয়া দূতাবাসে গিয়ে সরাসরি Malaysia factory visa processing করা যায়।
বেসরকারিভাবে যেতে আগ্রহীরা সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন বেসরকারি এজেন্সির শরণাপন্ন হয়ে থাকেন। বেসরকারিভাবে দেশটিতে যেতে খরচের পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা পেতে কি কি লাগে?
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত সেটা সম্পর্কে জানতে গিয়ে এবার জানবো দেশটির ফ্যাক্টরি ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে।
- ৬ মাস মেয়াদী একটি বৈধ এবং গ্রহণযোগ্য পাসপোর্ট।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি প্রয়োজন।
- পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
- পুলিশ ভেরিফিকেশন বা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
- জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড।
- BMET SMART CARD
- SKILL CERTIFICATE বা দক্ষতার সার্টিফিকেট।
- WORK EXPERIENCE CERTIFICATE বা কাজের
- WORK AGREEMENT বা কাজের চুক্তিপত্র।
- অভিজ্ঞতার সনদপত্র।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদপত্র।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা সর্বনিম্ন বেতন কত?
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত সেটা সম্পর্কে জানতে গিয়ে অনেকে দেশটির ফ্যাক্টরি ভিসা সর্বনিম্ন বেতন সম্পর্কে প্রশ্ন করে থাকেন। কারণ,সর্বনিম্ন বেতন সম্পর্কে ধারণা থাকলে খরচ করার পর কত টাকা পরিবারের কাছে পাঠাতে পারবেন সে সম্পর্কে পরিষ্কার আইডিয়া পাবেন।মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার সর্বনিম্ন বেতনের পরিমাণ হয়ে থাকে ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি শ্রমিকের বেতন কত?
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত সেটা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে এবার আসি দেশটির ফ্যাক্টরি শ্রমিকের বেতন কত সে বিষয়টা নিয়ে। দেশটিতে প্রচুর পরিমাণে কলকারখানা গড়ে ওঠার ফলে ফ্যাক্টরি পরিচালনার জন্য শ্রমিকের চাহিদা দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অসংখ্য মানুষ দেশটিতে কাজ করে থাকে। চলুন তাহলে ফ্যাক্টরি শ্রমিকের বেতন কত সেটা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
মালয়েশিয়ায় ফ্যাক্টরি শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা।
এছাড়া অভিজ্ঞ এবং দক্ষ শ্রমিকরা মাসে ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা বেতন পেয়ে থাকে।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি?
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত সেটা জানার সাথে সাথে দেশটির ফ্যাক্টরিগুলোতে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি সে বিষয়টা সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন। চাহিদা সম্পন্ন কাজগুলো সম্পর্কে আগে থেকে জানতে পারলে অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশটিতে যেতে পারবেন। নিচে দেশটির চাহিদা সম্পন্ন কাজগুলো তুলে ধরা হলো।
- Driving
- Cleaner
- Labour
মালয়েশিয়ার ফ্যাক্টরিতে ওভারটাইম সুবিধা
মালয়েশিয়াতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাক্টরি এবং কলকারখানা গড়ে উঠেছে এসব ফ্যাক্টরিগুলো পরিচালনার জন্য তারা পর্যাপ্ত পরিমাণে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে।
ওভারটাইমে কাজ করে তারা মূল বেতনের চেয়ে ভালো টাকা ইনকাম করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ কোন শ্রমিকের মাসিক বেতন যদি ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা হয়ে থাকে তাহলে সে ওভারটাইম কাজ করে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বেশি আয় করতে পারে। ওভারটাইমে কাজ করে শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধির এ সুবিধাটা পেয়ে থাকে।
শেষ কথা
উপরিউক্ত পোস্টটিতে আমি মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত সে বিষয়টা সুন্দরভাবে তুলে ধরেছি। আশাকরি পোস্টটি পড়ে আপনারা সবাই অনেক উপকৃত হয়েছেন। এরকম সুন্দর সুন্দর পোস্ট পেতে visabarta.com এর সাথেই থাকুন।ধন্যবাদ।
আরো জানুনঃ
ইউরোপের কোন দেশে বেতন বেশি জেনে নিন।