লাক্সেমবার্গ ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশী

লাক্সেমবার্গ ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশি অর্থ বাংলাদেশীদের জন্য লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসা। লুক্সেমবার্গ ইউরোপের অন্যতম উন্নত একটি দেশ। প্রতি বছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের অসংখ্য মানুষ  কর্মের সন্ধানে দেশটিতে পাড়ি জমান কারণ,দেশটিতে কাজের বেতন অনেক বেশি। তাছাড়া,শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হওয়ার কারণে দেশটিতে বেকারত্বের হারও অনেক কম। উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা এবং স্থিতিশীল পরিবেশের কারণে দেশটিকে পৃথিবীর স্বর্গ বলা হয়।

অনেক বাংলাদেশীর স্বপ্ন থাকে উন্নত এ দেশটিতে গিয়ে কাজ করে ক্যারিয়ার গড়ার। কর্মসংস্থানের জন্য বিখ্যাত এ দেশটি বাংলাদেশের নানা পেশাজীবীদের কর্মস্থল হিসেবে পরিগণিত। দেশটিতে কাজ করার জন্য work permit visa একান্ত অপরিহার্য। নিচে বাংলাদেশ থেকে work permit ভিসা নিয়ে দেশটিতে যাওয়ার উপায় সহ যাবতীয় বিষয় সুন্দরভাবে তুলে ধরবো। আশা করি,ধৈর্য সহকারে পুরো আর্টিকেলটি পড়বেন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং

লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং এর অনেকগুলো ধাপ রয়েছে নিচে এ ধাপগুলো সম্পর্কে সুন্দরভাবে আলোচনা করা হলো।

  • প্রথম ধাপ,লুক্সেমবার্গ Work permit visa processing এর জন্য Job offer letter পাওয়া একান্ত অপরিহার্য।
  • দ্বিতীয় ধাপ,Work permit এর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করুন। আপনি Luxembourg Embassy বা Consulate এর website থেকে work permit visa তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।
  • তৃতীয় ধাপ,এবার আপনি Work permit visa application form সঠিকভাবে পূরণের দিকে মনোনিবেশ করুন।
  • চতুর্থ ধাপ,আপনার প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট Submit করুন।
  • পঞ্চম ধাপ,এবার আপনি Visa application fee প্রদান করুন। Visa application fee সাধারণত ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে।
  • ষষ্ঠ ধাপ,এই ধাপে নিজেকে ইন্টারভিউ এর জন্য প্রস্তুত করুন এবং নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী Interview দিন।
  • সপ্তম ধাপ,এবার আপনার Work permit visa processing শুরু এবং এটার জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করার পর আপনার Passport টি সংগ্রহ করুন।

কাজের ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

লাক্সেমবার্গ কাজের ভিসা processing এর জন্য অনেকগুলো ডকুমেন্ট প্রয়োজন। নিচে এ ডকুমেন্টগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

  • ছয় মাস মেয়াদীএকটি বৈধ এবং গ্রহণযোগ্য পাসপোর্ট।
  •  CV বা CURRICULUM VITAE
  •  শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সার্টিফিকেট।
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন বা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
  •  MEDICAL REPORT বা স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট।
  • ২কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি প্রয়োজন।
  • JOB OFFER LETTER
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • NATIONAL ID CARD বা জাতীয় পরিচয় পত্র।
  • ভাষাগত দক্ষতা থাকতে হবে(ইংরেজি কিংবা ফরাসি)।

কাজের ভিসার জন্য আবেদন করবেন কেন?

লাক্সেমবার্গ ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশি এটা সম্পর্কে জানানোর সাথে সাথে এবার জানাবো দেশটিতে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করবেন কেন সেটা সম্পর্কে।

  • দেশটি বিভিন্ন খাতে কর্মসংস্থানের জন্য ব্যাপক সুযোগ প্রদান করে থাকে। যেমন,ফিন্যান্স,ব্যাংকিং এবং আইটি খাত গুলোতে।
  • বসবাসের জন্য দেশটিতে  অনুকূল পরিবেশ বিদ্যমান।
  • বহু -ভাষিক জায়গা হিসেবে দেশটির পরিচিতি রয়েছে। এখানে ফরাসি,জার্মান ইংরেজি ভাষা ব্যাপকহারে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
  • দেশটিতে প্রতি সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
  • বর্তমানে দেশটিতে কর্মসংস্থানের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে কর্মসংস্থানের হার বৃদ্ধি পেয়ে ৬৯% এ উন্নীত হয়েছে।

বহুজাতিক পরিবেশ বিদ্যমান থাকায় নানা রকমের সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।দেশটিতে অপরাধের হার অনেক কম থাকায় নিরাপদে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

লাক্সেমবার্গ কোন কাজের চাহিদা বেশি?

লাক্সেমবার্গ ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশি এটা সম্পর্কে জানার সাথে সাথে দেশটিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এটা সম্পর্কে জানা একান্ত প্রয়োজন। সাধারণত,বাঙালিরা তাদের কর্মদক্ষতা অনুযায়ী দেশটিতে গিয়ে নানা ধরনের কাজ করে থাকে। নিচে দেশটির চাহিদা সম্পন্ন কাজগুলোর তালিকা প্রদান করা হলো।

  • নির্মাণ শ্রমিক।
  • ELECTRICIAN
  • হোটেল কিংবা রেস্টুরেন্টের কাজ।
  • CLEANER বা পরিচ্ছন্নতা কর্মী।
  • DELIVERY MAN
  • ড্রাইভিং।
  • এসি টেকনিশিয়ান।
  • ফুড প্যাকেজিং।
  • ফ্যাক্টরির কাজ।ইত্যাদি।

এছাড়াও,দেশটিতে আইটি,ফিন্যান্স,ইঞ্জিনিয়ারিং,ব্যাংকিং,HEALTH CARE ইত্যাদি সেক্টরগুলোতে কাজ করে ভালো মানের বেতন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

যেতে কত টাকা লাগে?

রুপসাব পার্ক ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশী এটা সম্পর্কে জানার সাথে সাথে অনেকে দেশটিতে যেতে কত টাকা লাগে এটা সম্পর্কে জানতে চান। সাধারণত,ইউরোপের উন্নত এ দেশটিতে যাওয়ার জন্য আপনি যদি নিজে আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনাকে ২ থেকে ৪ লক্ষ টাকা খরচ গুনতে হবে। সরকারিভাবে গেলেও খরচের পরিমাণও প্রায় একই রকম হবে।

বেসরকারিভাবে বা এজেন্সির সহযোগিতায় দেশটিতে যেতে খরচের পরিমান ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা। দালালের সহযোগিতা নিয়ে দেশটিতে যেতে চাইলে খরচের পরিমান বেশী হয়ে থাকে এবং প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে, ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী খরচের পরিমানের তারতম্য হয়ে থাকে।

লুক্সেমবার্গ বেতন কত?

ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশী এটা সম্পর্কে জানানোর পর এবার জানাবো দেশটির বেতন কত সেটা সম্পর্কে। তুমসে পার্ক ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বেতনের দেশ হিসেবে পরিচিত। দেশটির সর্বনিম্ন বেতন ২২০৪ ইউরো বাংলাদেশী টাকায় যেটার পরিমান ২,৮০,১৭২.৪৮ টাকা। সাধারণত,দেশটি প্রতি ঘন্টা অনুযায়ী শ্রমিকদের মজুরি প্রদান করে থাকে। তবে,অভিজ্ঞতা এবং কর্মদক্ষতা অনুযায়ী দেশটিতে কাজ করে ১ মাসে ৫ থেকে ৮ লক্ষ টাকা বেতন পাওয়া সম্ভব।

লুক্সেমবার্গের মাসিক বেতন কত?

অনেকে রুস্তম পার্ক মাসিক বেতন কত এটা সম্পর্কে প্রশ্ন করে থাকেন। সাধারণত,আপনার কর্মদক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে বেতনের তারতম্য হতে পারে। তবে,গড় হিসেবে দেশটির মাসিক বেতন ২,৫০০ ইউরো বাংলাদেশী টাকায় যেটার পরিমান ৩,১৭,৮০০ টাকা।

শেষ কথা

লাক্সেমবার্গ ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশি সম্পর্কিত আর্টিকেলটিতে আমি দেশটির work visa সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় সুন্দরভাবে তুলে ধরেছি। আশাকরি,পোস্টটি পড়ে আপনারা সবাই অনেক উপকৃত হয়েছে। এরকম সুন্দর সুন্দর পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।ধন্যবাদ।

আরো জানুনঃ

সৌদি আরবে কোন কাজে বেতন বেশি জেনে নিন।

Leave a Comment