কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা বিস্তারিত ২০২৫

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আপনি কি কানাডা যেতে আগ্রহী? বর্তমানে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কাছে একটি আকর্ষণীয় দেশে পরিণত হয়েছে কানাডা। কারণ, সেখানকার উন্নত জীবন যাপন পড়াশোনা ও পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সুবিধা বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে।

পৃথিবীর প্রায় সব দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দের তালিকায় রয়েছে দেশটি। এখানে রয়েছে মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা। পড়াশোনা করার পাশাপাশি রয়েছে খন্ডকালীন কাজের সুব্যবস্থা। এরকম নানাবিধ সুযোগ-সুবিধার কারণে বিশ্বব্যাপী কানাডা উচ্চশিক্ষার স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত।

প্রতিবছর বাংলাদেশসহ, বিশ্বের হাজারো শিক্ষার্থী মুখিয়ে থাকেন উচ্চ শিক্ষার  স্বর্গ রাজ্য খ্যাত দেশটিতে গিয়ে পড়াশোনা করে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য। কানাডা হাজার শিক্ষার্থীর স্বপ্নের দেশ, কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষার্থীই জানে না কানাডার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য কি কি করতে হয়। পোস্টটিতে সেটা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

এ ছাড়াও, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মোঃ ইউনুছ  কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলাপকালে, বাংলাদেশ থেকে অধিক ছাত্র ছাত্রী যাতে সহজে কানাডায় পড়াশুনা করতে পারে, সে ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। পোস্টটি পড়লে আশাকরি, আপনি কানাডার স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা

সাধারণত, কানাডা স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা পরিপূর্ণভাবে নির্ভর করে, আপনি কোন কারণে দেশটিতে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন সেটার উপর। আপনার যদি মনোবাসনা থাকে, পড়াশুনা করে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য উচ্চশিক্ষার স্বর্গরাজ্য কানাডা যাওয়ার, তাহলে আপনার কি কি ডকুমেন্টস লাগবে, অথবা কি কি যোগ্যতাগুলো থাকলে আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় সহজেই কানাডা যেতে পারবেন, তা নিচে দেয়া হল।

  • স্টুডেন্ট  ভিসায় কানাডা যাওয়ার জন্য একটি বৈধ এবং গ্রহণযোগ্য পাসপোর্ট থাকা অপরিহার্য।
  • এরপর প্রয়োজন হবে সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
  • স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যাওয়ার জন্য আইএলটিএস এর গুরুত্ব অপরিসীম। সেখানে যাওয়ার জন্য আইএলটিএস পরীক্ষায় সর্বনিম্ন স্কোর ৬ পেতে হবে।
  • কানাডার কোন ইউনিভার্সিটি থেকে অফার লেটার।
  • আপনার পূর্বে অধ্যায়কৃত মূল সনদের সকল সত্যায়িত কপি।
  • অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রের সনদ লাগবে।
  • এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট।
  • কানাডায় যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনি পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পত্র লাগবে।
  • কানাডায় থাকা খাওয়া ও পড়াশুনা  বহন করার অর্থ আছে কিনা তার প্রমাণস্বরূপ কাগজপত্র লাগবে।
  • কোন প্রকার সন্ত্রাস বা মামলার সাথে জড়িত থাকা যাবে না।
  • আপনার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা প্রমাণ করার জন্য মেডিকেল সার্টিফিকেট লাগবে।
  • কানাডার যে ইউনিভার্সিটি বা কলেজে পড়তে আপনি আগ্রহী তার এডমিশন লেটার বা একসেপ্টান্স লেটার প্রয়োজন ।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের সার্টিফিকেট লাগবে ।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্টের কপি ।
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশংসাপত্র ইত্যাদি ।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ব্যাংক স্টেটমেন্ট

অনেকে জানতে চান ১০ লাখ টাকায় কি কানাডা যাওয়া যায়? অথবা ২০-৩০ লাখ টাকা ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে পারলে কি আমাকে কানাডার স্টুডেন্ট ভিসা দিবে? আচ্ছা আমার তো কোন টাকা পয়সা নাই, তো আমার টাকাটা যদি আমি অন্য কোন মাধ্যমে দেখাই, অথবা আমি যদি কোনভাবে লোন নিয়ে ব্যাংক স্টেটমেন্টটা দেখাই, তাহলে কি আমি ভিসা পাব? এরকম হাজারো প্রশ্ন ভিসা এপ্লাই করার সময় আমাদের মাথায় ঘুরতে থাকে।

চলুন বিষয়টা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।বাংলাদেশ থেকে একজন শিক্ষার্থী যখন কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য এপ্লাই করতে চায়, তখন তাকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হয়। এখন ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখানোর ক্ষেত্রে ব্যাংক একাউন্টে যে টাকাটা দেখাতে হয়, এ ব্যাংক একাউন্টটা কার নামে হতে পারে? অথবা একজন শিক্ষার্থীর স্পন্সর কে কে হতে পারে? যে স্টুডেন্টটা এপ্লাই করবে, তার মা বাবা ভাই বোন স্পন্সর হতে পারে।

যাদের বাবা বেঁচে নেই, তারা মায়ের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে পারবে। যাদের মা নেই, তারা বাবার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে পারবে। আর বাবা-মা দুজনে যদি না থাকে, তাহলে ভাই অথবা বোনের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে পারবে।

ব্যাংক লোন নিয়ে কি ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখানো যাবে?

তারপর আরো একটা প্রশ্ন আমাদের মাথায় ঘুরতে থাকে, আর সেটা হল ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে কি কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখানো যাবে ? উত্তর হল দেখানো যাবে না। ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে কোনক্রমেই ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখানো যাবে না।যদি কোন শিক্ষার্থীর অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না হয়, তখন অনেক এজেন্সি আছে, তারা কিছু টাকার বিনিময়ে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখিয়ে দেয়।

কানাডার স্টুডেন্ট ভিসার এপ্লাই করার ক্ষেত্রে এ ধরনের কোন ব্যাংক স্টেটমেন্ট কোনক্রমেই দেখানো যাবে না,এটা অবৈধ।কোন শিক্ষার্থী যদি এ ধরনের ভুয়া তথ্য দেখিয়ে ব্যাংক স্টেটমেন্ট করে, তবে তাকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে।

সবচেয়ে ভালো হয় বাবা-মার একাউন্টে টাকাটা দেখালে। আপনি আপনার পিতা-মাতার ট্যাক্স,টিন,জব রিলেটেড ডকুমেন্টসগুলো একসাথে দেখালে বোধগম্য হয় যে, ব্যাংক স্টেটমেন্টের জন্য যে টাকাটা দেখাচ্ছেন, সেটা কোথা থেকে আসছে। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে ব্যাংকে টাকাটা কতদিন রাখবো।

স্পেসিফিক্যালি বলতে গেলে  ব্যাংকে টাকাটা ছয় মাস রাখলে বেটার হয়। আরেকটা প্রশ্ন মনে জাগে সেটা হল, ব্যাংক স্টেটমেন্ট কত টাকা দেখাতে হবে? রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আপনার এক বছরের টিউশন ফি, এবং এক বছরে লিভিং কস্ট,যেটা রাফলি ক্যালকুলেট করলে হয় ১০ হাজার ডলার।

মনে করুন, আপনি একটা কলেজে আসতেছেন, সেই কলেজের  টিউশন ফি বিশ হাজার ডলার, এবং আরো দশ হাজার ডলার হচ্ছে আপনার লিভিং কস্ট। ৩০ হাজার ডলারের সমপরিমাণ টাকা আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্টে দেখাতে হবে।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা স্টাডি গ্যাপ

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা স্টাডি গ্যাপ  বুঝতে হলে প্রথমে আপনাকে জানতে হবে স্টাডি গ্যাপ কি? স্টাডিগ্যাপ হলো লেখাপড়ায় বিরতি ।ধরুন, আপনি ২০২০ সালে এইচএসসি পাশ করেছেন।২০২২ সালে এসে আপনি কানাডাতে লেখাপড়া করার পরিকল্পনা করলেন। এই দুইটা বছর আপনি কি কাজে ব্যয় করেছেন, সেটা কানাডার ভিসা অফিসার আপনার কাছে জানার আগ্রহ প্রকাশ করবে।

আপনাকে ডকুমেন্ট সহকারে সেটার একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে হবে। অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা ব্যাচেলর বা মাস্টার্স পাশ করার পর নিজেকে বিভিন্ন কর্মের ভেতরে নিয়োজিত রেখেছেন, সেটা হতে পারে দশ বছর বা পাঁচ বছর।এ ধরনের জব যারা করছেন, তারা কিন্তু  প্রফেশনাল লাইফের সাথে নিজেকে যুক্ত করে ফেলেছেন। একাডেমিক লাইফের সাথে তারা কিন্তু সম্পৃক্ত না।

এটা কিন্তু তাদের স্টাডি গ্যাপ হিসেবে বিবেচিত।এরপর ১০ বছর জব করার পর তারা যদি স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন আগ্রহী হয়, তাহলে তাদেরকে ডকুমেন্ট সহকারে ব্যাখ্যা লিখতে হবে, কেন তাদের এই গ্যাপটা হল। অন্যথায় এটা ভিসা বাতিলের একটি অন্যতম কারণ হতে পারে।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসায় স্টাডি পারমিটের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে আবেদন ফি প্রদান করতে হয়  ১৫০ কানাডিয়ান ডলার। বায়োমেট্রিক ফি এর জন্য প্রদান করতে হয় ৮৫ কানাডিয়ান ডলার। এবং টিউশন ফি এর খরচের ব্যাপারটা ইউনিভার্সিটি,প্রোগ্রাম এবং আপনার পড়াশোনার স্তরের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। তাছাড়া জীবনযাত্রার খরচ, যেমন বাসস্থান, খাদ্য, পরিবহন,  স্বাস্থ্যবীমা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের  প্রতিবছর, ২৫০০০ থেকে ৪৫০০০ কানাডিয়ান ডলার খরচ গুনতে হতে পারে।

স্টুডেন্ট ভিসার সুবিধা

আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব, পৃথিবীতে এত দেশ থাকা সত্বেও, কেন হাজারো শিক্ষার্থী কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে দেশটিতে গিয়ে পড়াশোনা করতে মরিয়া হয়ে থাকেন।  আন্তর্জাতিক মানসম্মত ও উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিচালিত  দেশ হচ্ছে  উত্তর আমেরিকার কানাডা।

কম খরচে পড়ালেখার সুযোগ, শিক্ষাজীবন শেষে সহজেই পছন্দনীয় পেশায় যোগদানের সুযোগ সুবিধা, এবং নাগরিক সুবিধাবলীর কারণে কানাডা ক্রমান্বয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে একটি আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। ওয়াটার লু ইউনিভার্সিটি,আলবার্টা ইউনিভার্সিটি, ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটি ও কুইন্স ইউনিভার্সিটির মতো নামকরা সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখানে অবস্থিত।

কানাডার শিক্ষা ব্যবস্থায় সাধারণত চার ধরনের ডিগ্রি প্রদান করা হয়ে থাকে, সেগুলো হলো। স্নাতক,স্নাতকোত্তর,ডক্টরেট এবং ডিপ্লোমা ডিগ্রী। এটা ছাড়াও, একজন শিক্ষার্থী এখানে পার্ট টাইম অথবা ফুল টাইম পড়াশোনা করতে পারে। তাছাড়া শিক্ষার পাশাপাশি এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য কো-অপারেটিভ এডুকেশন, ডিসটেন্স লার্নিং, ও কন্টিনিউইং এডুকেশনের মতো কোর্সগুলো চালু রয়েছে।

কানাডা যেতে ILTS কত পয়েন্ট লাগে?

স্টুডেন্ট ভিসায় আপনি যদি উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডাতে যেতে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার একাডেমিক আইইএলটিএস স্কোর সর্বনিম্ন ৬.৫ থাকতে হবে। এছাড়াও, প্রতিষ্ঠান এবং প্রোগ্রামের আবেদনের উপর নির্ভর করেও আইইএলটিএসের চাহিদার তারতম্য হতে পারে।

 কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পেতে কত দিন লাগবে?

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পেতে সাধারণত দুই থেকে তিন মাস সময়ের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনের প্রক্রিয়াটি সাধারণত, আপনার আবেদনের প্রস্তুতি, সম্পন্নতা এবং কার্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রশস্ত হোম কাউন্সিলর, কিংবা ভিসা অফিসারের সাথে আপনার সম্পর্কের উপরেও ডিপেন্ড করে ।

কানাডায় ১ মাসে কত টাকা খরচ হয়?

কানাডাতে এসে প্রথমে আপনার যে খরচটা বহন করতে হবে সেটা হলো হাউজ রেন্টের খরচ, আর সেটা করার জন্য আপনার প্রতি মাসে মিনিমাম ৭০০ থেকে ৮০০ ডলার খরচ হবে। আর আপনি যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটা রুম নিয়ে থাকতে হবে। সেখানে আপনাকে পরিশোধ করতে হবে মিনিমাম ৫০০ ডলার।

আর যারা ফ্যামিলি নিয়ে আসে তাদেরকে অবশ্যই একটা হাউজ রেন্ট করতে হয়। সেক্ষেত্রে খরচ হবে ১ হাজার ডলার, অথবা ১২০০ ডলার। এরপর আসে ফুড কষ্টের ব্যাপারটা। সিঙ্গেলদের ফুড কস্টের ব্যাপারে মোটামুটি খরচ ধরলে ২০০ ডলার এর বেশি হবে না। তবে ফ্যামিলি নিয়ে আসলে ফুড কষ্টে খরচ হবে ৬০০ অথবা ৮০০ ডলার। যেটি বাংলাদেশ টাকায় প্রায় ৭ লক্ষ থেকে  ৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত। এ খরচের ব্যাপারটা আপনার চাহিদার উপর ডিপেন্ড করবে।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসায় কি কি কাজ করা যায়?

কানাডাতে স্টুডেন্ট ভিসায় এসে ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টরা নানা প্রকারের জব করে থাকে। প্রথমে যে জবটার কথা আসে সেটা হল সেলফ এমপ্লয়মেন্ট বা সেলফ ইন্ডিপেন্ডেন্ট জব। এই জবটা স্টুডেন্ট এর কাছে বেশি পছন্দনীয়। তার কারণ হল, আপনার যদি বিকাল পাঁচটার সময় কোন ক্লাস থাকে, এবং ওই পাঁচটার সময় যদি আপনার ওয়ার্কের শিফট থাকে, তাহলে দুইটা কাজ একসাথে মেইনটেইন করা আপনার জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে।

ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টরা স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডায় গিয়ে পার্টটাইমে  নানা ধরনের জব করে থাকে। তবে তারা এমন কাজ বেছে নেয়, যেটা পড়াশোনার পাশাপাশি তারা সহজে করতে পারে। যেমন,ফুড কাটারিং,গবেষণা সহকারী, শিক্ষক সহকারী ও কম্পিউটার ওয়ার্ক সহ নানা ধরনের খন্ডকালীন কাজ।

বাংলাদেশে কানাডা এম্বাসি কোথায়?

কানাডায় যাওয়ার জন্য এবং কানাডার ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা গুলো দুর করার জন্য, বাংলাদেশে কানাডার এম্বাসি কোথায় অবস্থিত সেটা জানা একান্ত জরুরী। বাংলাদেশে কানাডার প্রধান এম্বাসি ঢাকার গুলশানে অবস্থিত অর্থাৎ, হাউজ#১৬ এ,রোড# ৪৮,গুলশান ২,ঢাকায় অবস্থিত।

শেষ কথা

উপরিউক্ত আলোচনাটিতে কানাডার স্টুডেন্ট ভিসা সংক্রান্ত সকল তথ্য সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যেমন কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার যোগ্যতা,ব্যাংক স্টেটমেন্ট,স্টাডিগ্যাপ,কানাডার স্টুডেন্ট ভিসার সুবিধাবলিসহ নানা ধরনের বিষয়াবলী। আশা করি, তথ্যগুলো স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যাওয়ার জন্য আপনাদের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ভিসা সংক্রান্ত এরকম সুন্দর সুন্দর তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।

আরো জানুনঃ

জাপান স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত জেনে নিন

Leave a Comment