ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পড়তে ও পারটাইম কাজ করতে আমাদের তথ্যবহুল লেখাটি পড়ুন। আশাকরি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।বর্তমান সময়ে সবারই প্রত্যাশা থাকে একটি ভালো রাষ্ট্রে যাওয়ার সেক্ষেত্রে ইতালি হতে পারে অন্যতম। বাংলাদেশে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা পশ্চিম ইউরোপের দেশ ইতালিতে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর থাকেন অনেকে আছেন যারা ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে স্বপ্নের দেশ ইতালিতে যেতে চান আবার অনেকে আছেন যারা কাজের উদ্দেশ্যে ইতালিতে যেতে চান। এবং কিছু শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষা লাভ করার জন্য ইতালিতে যেতে চান।
কারণ উচ্চশিক্ষায় ইতালি বর্তমান বিশ্বের জনপ্রিয় দেশগুলোর মধ্যে একটি। ইতালিতে ৯০ টি নিবন্ধিত উচ্চ শিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে।এটার মধ্যে ৫০টির অধিক পরিচালিত হয় সরকারি অর্থায়নে।এটা ছাড়াও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি রয়েছে পোস্ট গ্রাজুয়েট সেন্টার পলিটেকনিক ও অন্যান্য উচ্চ শিক্ষা প্রদানকারী সেক্টর।
ইতালিতে পড়াশোনা কেন করবেন?
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে ইতালি হতে পারে সেরা কয়েকটি স্থানের মধ্যে অন্যতম একটি স্থান।এখানে রয়েছে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করনের লক্ষ্যে ডিগ্রি প্রদানকারী অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান যেটা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে একটা আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।এখানে রয়েছে তুলনামূলকভাবে স্বল্প টিউশন ফি দিয়ে পড়াশোনা করার সুব্যবস্থা ।স্বল্প খরচে বাস করার মতো মনোরম পরিবেশ।।শিক্ষা ব্যবস্থায় রয়েছে নিত্য নতুন বৈচিত্রের সমাহার।পড়াশোনার পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার অবারিত সুযোগ।বিভিন্ন ধরনের কোর্স থেকে নিজের পছন্দমত কোর্স বাছাই করে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
ইতালিতে বিভিন্ন ভিসার ক্যাটাগরি
পড়াশোনা করে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য ইতালিতে স্টুডেন্ট ভিসার জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিন ধরনের ভিসা থেকে আপনার পছন্দ মত ভিসা বাছাই করে এপ্লাই করতে হবে। এই তিন ধরনের ভিসার বর্ণনা পর্যায়ক্রমে নিচে দেয়া হল।
স্টুডেন্ট ভিসা সাব ক্লাস
এই প্রকারের ভিসার মাধ্যমে একজন রেজিস্টার্ড শিক্ষার্থী যে কোন ধরনের কোর্স সম্পন্ন করতে পারবেন।এই ধরনের ভিসা পেতে হলে শিক্ষার্থীর বয়স কমপক্ষে ৬ বছর হতে হবে। এ ছাড়াও যে বিষয়টা রয়েছে সেটা হল যে কোনো ইতালিয়ান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পেতে হবে ও স্বাস্থ্য বীমা থাকতে হবে। এই ধরনের ভিসায় সাধারণত কোন স্পন্সরের প্রয়োজন হয় না।এই স্টুডেন্ট ভিসায় ত্রিশ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়।
স্টুডেন্ট গার্ডিয়ান ভিসা
এই ধরনের ভিসা পেতে হলে আপনার পরিবার বর্গের কোন সদস্যকে পূর্ব থেকে ইতালির অধিবাসী হতে হবে।এটা ছাড়াও পড়ালেখার খরচ উঠানোর মতো পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা থাকতে হবে, ও কমপক্ষে ২১ বছর বয়সী হতে হবে।স্পন্সর ছাড়াও আপনি এ ধরনের ভিসার আবেদন করতে পারবেন।এই ধরনের ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ পাঁচ বছর মেয়াদী হয়ে থাকে ।পড়াশোনা করার পাশাপাশি পার্টটাইম ও ফুল টাইম চাকরি করার অবারিত সুযোগ রয়েছে ।এছাড়াও রয়েছে পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের জন্য আলাদা আলাদা ভিসার আবেদন করার সুব্যবস্থা। এই স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করতে 30 থেকে 35 হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে।
স্পেশাল ক্যাটাগরি স্টুডেন্ট ভিসা
এই ধরনের স্টুডেন্ট ভিসা পেতে হলে আপনার পরিবারের যে কোন সদস্য বা আত্মীয় পরিজনকে ইতালির অধিবাসী হতে হবে।এটা ছাড়াও শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য বীমা থাকা বাঞ্ছনীয় ।এই ধরনের ভিসার আবেদন করার জন্য স্পন্সরের প্রয়োজন পড়েনা।এই প্রকারের ভিসার সাধারণত কোন মেয়াদ থাকেনা।আপনি পড়াশোনা করার পাশাপাশি চাকরি করার ও সুযোগ পাবেন । মজার ব্যাপার হলো এই ধরনের ভিসার আবেদন করতে কোন ধরনের খরচ হয় না। ভিসা অ্যাপ্লিকেশন করার জন্য ইন্টারনেট থেকে ভিসার আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যায় অথবা যে কোন ট্রাভেল এজেন্সি থেকেও ভিসা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়।
ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা
আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় ইতালিতে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে থাকেন তাহলে আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসার যোগ্যতা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ধারণা থাকতে হবে ।উচ্চশিক্ষা লাভ করার জন্য ইতালিতে রয়েছে অনেক মানসম্মত ডিগ্রি যা অর্জন করার জন্য রয়েছে নানা ধরনের প্রতিষ্ঠান ।ইতালিতে স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনের পর যখন আপনি এই স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে ইতালি যাবেন তখন আপনাকে আলাদাভাবে কিছু যোগ্যতার প্রমাণ দাখিল করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার এইচএসসি পরীক্ষার সন্তোষজনক রেজাল্ট একটা বৈধ পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয় পত্র থাকা বাঞ্ছনীয়।
প্রথম পর্যায়ে আপনি ইতালিতে কোন বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করতে আগ্রহী সেই বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হবে এক্ষেত্রে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসগুলো ওই বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটের জমা দিতে পারেন এবং পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদন গ্রহণ করলে একটা আমন্ত্রণ পত্র পাঠাবে যেটা আপনাকে ইতালির দূতাবাস থেকে সত্যায়িত করে নিতে হবে।
লেটার পাঠানোর পর আপনি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন এবং ইতালি গিয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয় পড়তে আগ্রহী সেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনাকে একসেপ্ট করার জন্য যে ইনভাইটেশন লেটার পাঠাবে সেই ইনভাইটেশন লেটার আপনাকে ভিসা করার সময় সাবমিট করতে হবে। এটা ছাড়াও আপনাকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে ।
এ সমস্ত যোগ্যতাগুলো আপনার ভেতরে থেকে থাকলে আপনি স্বপ্নের দেশ ইতালিতে আবেদন করতে পারবেন।এছাড়াও বেসরকারিভাবে আবেদন আগ্রহী হলে আপনার ডকুমেন্টসগুলো এজেন্সির মাধ্যমে জমা দিয়েও ইতালি স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করতে পারবেন।
ইতালিতে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে
উচ্চশিক্ষা লাভ করার জন্য ইতালি হতে পারে সারা বিশ্বের মধ্যে জনপ্রিয় একটি স্থান কারণ অল্প পরিমাণ টাকা টিউশন ফি দিয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভ করার জন্য ইতালির বিকল্প কোন দেশ খুঁজে পাওয়া সত্যিই অনেক কষ্টসাধ্য। এই দেশে পড়াশোনা করার পাশাপাশি ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য স্টুডেন্ট ভিসার প্রচলন সবচেয়ে বেশি ।এই ভিসা সাধারণত ৫ বছর মেয়াদি হয়ে থাকে ।বাংলাদেশ থেকে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্ট ভিসায় ইতালি যেতে খরচ পড়ে আনুমানিক ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা।তবে আপনি যদি ফুল স্কলারশিপ নিয়ে যেতে পারেন তাহলে আরো কম খরচে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।
আইএলটিএস ছাড়া ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা
আমাদের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা অবাক হয়ে ভাবতে থাকেন ইতালিতে পড়াশোনা করার জন্য কি সত্যিই আইএলটিএস করা প্রয়োজন ।অনেকে এটাও ভাবতে থাকেন যে আইএলটিএস ছাড়া ইতালিতে যাওয়া তাদের জন্য একেবারেই অসম্ভব।তাদের জন্য উত্তরটি হচ্ছে না আইএলটিএস ততক্ষণ পর্যন্ত আবশ্যক নয় যতক্ষণ পর্যন্ত ইতালীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আপনার গ্রহণযোগ্যতা পত্রে সেটার উল্লেখ করা না থাকে।তবে স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনকারীদের অনেকগুলো নথিপত্র সাবমিট করতে হয় যার মধ্যে বিদ্যমান থাকতে হবে একটি বৈধ ও গ্রহণযোগ্য পাসপোর্ট।
স্টুডেন্ট ভিসায় কি ইতালিতে কাজ করা যায়?
হ্যাঁ, আপনি কাজ করতে পারবেন তবে সেটা ইতালীয় আইন অনুসারে।সেই আইনে আপনি প্রতি সপ্তাহে কুড়ি ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করার অনুমতি পাবেন।তাছাড়া স্কুল কলেজের ছুটির দিনগুলোতে প্রতি সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা পর্যন্ত ফুল টাইম কাজ করার সুযোগ পাবেন।এই হিসেবে প্রতিবছর আপনাকে সর্বোচ্চ ১০৪০ ঘন্টা কাজ করার সুযোগ প্রদান করা হয়।এছাড়াও একজন শিক্ষার্থী চাইলে পার্ট টাইমে কোন রেস্টুরেন্ট বা সুপার শপেও কাজ করতে পারে।এই ধরনের কাজ যদি কোন শিক্ষার্থী করে তাহলে মান্থলি ৬ শত থেকে ১ হাজার ইউরোর ভিতরে ইনকাম করাটা তার জন্য পসিবল।
ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা করতে কোন কোন ডকুমেন্টসগুলো প্রয়োজন
প্রথমে আপনার প্রয়োজন ন্যাশনাল ডি টাইপ ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম।এই অ্যাপ্লিকেশন ফর্মটি ভিএসএফ এর ওয়েব সাইটে পাওয়া যাবে।এই ডি টাইপ ফর্মটি মূলত স্টাডি ভিসার জন্য প্রযোজ্য।অন্যান্য ফ্যামিলি বা স্পন্সর ভিসাগুলো এক একটা একেক ধরনের হয়ে থাকে।সুতরাং আপনাকে অবশ্যই ডি টাইপ ফরমটি সুন্দরভাবে ফিলাপ করে VSF এ সাবমিট করতে হবে।তবে একটা বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে সমস্ত ডেটা গুলো ক্যাপিটাল লেটারে লিখতে হবে।
দুইটা পাসপোর্ট সাইজ ফটোগ্রাফ আসলে দুইটা না ভিএসএফ আপনার কাছে প্রায় চারটা থেকে পাঁচটা ছবি চাইবে।এবং এটার সাইজ হতে হবে ফোর ইনটু ৩.৫ সেন্টিমিটার ।অনেকে ভুলবশত ফোর পয়েন্ট ফাইভ ইনটু ৩.৫ সেন্টিমিটারের ছবিটা নিয়ে যায়।সেটা অন্য কোন কান্ট্রির জন্য প্রযোজ্য হতে পারে কিন্তু ইতালির জন্য ৪.৫ * 3.5 cm ছবিটা পারফেক্ট।
আপনার জন্য একটা বৈধ এবং গ্রহণযোগ্য পাসপোর্ট অবশ্যই প্রয়োজন ।তবে আপনার ভিসার মেয়াদ যেন মিনিমাম ১৮ মাস হয় সে বিষয়টার দিকে নজর রাখতে হবে।ফ্রি এনরোলমেন্ট কপি জমা দেওয়ার সাথে সাথে অফার লেটারটিও জমা দিতে হবে।এবং আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যায়িত ডকুমেন্টসগুলি এক কপি করে অবশ্যই জমা দিতে হবে।আপনি যদি কোন স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন সেটা ভিসা আবেদনের সময় ভিএসএফে জমা দিতে হবে।
আপনারা অনেকেই হয়তো আই এল টি এস ছাড়াও অফার লেটার পেয়েছেন কিন্তু আপনি যখন embassyতে ভিসার জন্য আবেদন করতে যাবেন তখন অবশ্যই আইএলটিএস সার্টিফিকেট টি দিতে হবে।এবং আপনার স্কোর 6 থাকতেই হবে ।এই ধরনের স্কোর ছাড়া আপনি আবেদন করতে পারবেন না। আইইএলটিএস ছাড়াও হয়তো অনেকে ইতালিতে গিয়েছেন।আর সেটা কোভিড নাইন্টিন এর কারণে ।আসলে এটার কারণে শুধু ইতালি নয় অন্যান্য দেশগুলোও স্কোরের উপর একটু শিথিলতা আরোপ করেছিল।
এপ্লিকেন্ট এর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবশ্যই থাকতে হবে যেকোনো ব্যাংকে এবং সেখানে তার টাকা দেখাতে হবে ছয় মাস।রেকমেন্ডেশান অথবা মোটিভেশনাল লেটার প্রয়োজন হবে।অ্যাপ্লিক্যান্টের স্পন্সর কে হবে এবং তার ফিনান্সিয়াল সিচুয়েশন কেমন সেটির প্রুভমেন্ট দেখাতে হবে। ইটালিয়ান ল উল্লেখ করে দিয়েছেন যে ভিসা এপ্লিকেশনের সময় তারা একমডেশনের বিষয়টি জানতে চায় যেমন ইতালিতে আপনি কোথায় থাকবেন এটার বিস্তারিত ডকুমেন্ট ।
ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা ব্যাংক স্টেটমেনট
চলুন আগে জেনে নেওয়া যাক ব্যাংক স্টেটমেন্ট কি ব্যাংক স্টেটমেন্ট হলো আপনি যখন ভিসা আবেদন করবেন তখন এম্বাসিকে আপনার একটা ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রদান করতে হবে যেটার মাধ্যমে প্রমাণিত হবে যে আপনি পারিবারিকভাবে ইতালিতে এসে আপনার থাকা খাওয়া সহ অন্যান্য খরচ বহন করতে সক্ষম।এ প্রক্রিয়াটা কে মূলত ব্যাংক স্টেটমেন্ট বলা হয়।ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর মাধ্যমে এম্বাসি যদি আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে থাকে তাহলে তারা আপনাকে ভিসা প্রদান করবে আর যদি কোন প্রকার সন্দেহ থেকে থাকে তাহলে তারা আপনাকে ভিসা প্রদান করবে না ।
বিগত কয়েক বছরে ভিসা রিজেক্টেড যে কারণগুলো ছিল তার মধ্যে ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর বিষয়টি ছিল সবচেয়ে বেশি ।চলুন তাহলে ব্যাংক স্টেটমেন্ট এ কিভাবে করবেন সেটা নিয়ে আলোচনা করা যাক।ব্যাংক স্টেটমেন্ট আপনাকে দুটো জিনিস দেখাতে হবে প্রথমটি হলো যে আপনাকে স্পন্সর করছে তার একাউন্টে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা এবং দ্বিতীয়টি হল যিনি স্টুডেন্ট তার একাউন্টে নির্দিষ্ট টাকা দেখাতে হবে।
যেমন ধরুন, আপনি মাস্টার্স প্রোগ্রামে আসছেন সে ক্ষেত্রে আপনার প্রথম বছরের ব্যাংক স্টেটমেন্ট কেমন হতে পারে আপনার কোর্স ফি যদি ৩০০০ ইউরোর মত হয়ে থাকে এবং আপনি যে শহরে থাকবেন সেখানকার মাসিক থাকা এবং খাওয়ার খরচ যদি 400 ইউরোর মত হয়ে থাকে তাহলে এক বছরে আপনার ৫,০০০ ইউরোর মত খরচ এবং টিউশন ফি তিন হাজার ইউরো মোট প্রায় আট হাজার ইউরো ।এক্ষেত্রে বাংলাদেশী টাকার পরিমান হবে প্রায় দশ থেকে ১১ লাখ টাকার মত।
ইতালি স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করার নিয়ম
প্রথমে স্টুডেন্ট ভিসার ধরনটি নির্বাচন করে নেওয়া অপরিহার্য ।এটা করার পর আপনাকে ভিসা আবেদন ফর্মটি ডাউনলোড করতে হবে ।এরপর সেটা ফিলাপের পর আপনাকে অনলাইনে আবেদনের কাজ শুরু করতে হবে ।আপনি চাইলে কোন ট্রাভেল এজেন্সি কিংবা ইতালিয়ান ভিসা সেন্টার থেকেও ফরমটি কালেক্ট করতে পারবেন।সেক্ষেত্রে আপনাকে আলাদা সার্ভিস ফির বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।
আপনার আবেদন সমাপ্তির পর বিভিন্ন রকমের সাপোর্টিং ডকুমেন্টগুলো ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম এর সাথে অ্যাটাচ করে দিতে হবে।তবে আপনাকে অবশ্যই সাপোর্টিং ডকুমেন্টস গুলো ওয়েবসাইট থেকে স্ক্যান করিয়ে নিতে হবে।এরপর ইতালিতে যে ভিসা সাপোর্টেড অফিস রয়েছে এখানে আপনার সাপোর্টিং ডকুমেন্টসের সকল ধরনের কপিগুলো সাবমিট করতে হবে।এ স্তরটি যদিও সকলের জন্য আবশ্যক নয়।ভিসা আবেদন ফরমটির সাথে সাপোর্টিং ডকুমেন্টসগুলো নিয়ে আপনি যদি কোন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন তাহলে সে সমস্যাগুলো দূরীকরণ এবং সমাধানের জন্য ভিসা অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।এভাবে আপনি সুন্দরভাবে ভিসা আবেদনের কাজটি সমাপ্ত করতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
উপরিউক্ত পোস্টটিতে ইতালির ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াবলী অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।যেমন ইতালিতে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার জন্য আপনার করণীয় কি, কিভাবে আবেদন করবেন,আপনার কোন কোন ডকুমেন্টস গুলো প্রয়োজন,সেখানে যাওয়ার পর স্টুডেন্ট ভিসায় আপনি কোন কোন ধরনের কাজ করতে পারবেন,স্টুডেন্ট ভিসায় খরচের পরিমাণ কেমন হবে ইত্যাদি সহ যাবতীয় আলোচনা এ পোস্টটিতে তুলে ধরা হয়েছে।আশা করি ইতালির ভিসা সংক্রান্ত পোস্টটি পড়ে আপনারা সবাই উপকৃত হবেন।
আরো জানুনঃ